ইসকন নামের ষাটের দশকের অ্যামেরিকার প্রতিষ্ঠিতে একটি হিন্দু সংগঠনের বাংলাদেশী সদস্যরা চট্টগ্রামের একটি স্কুলে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রসাদের খাবার বিতরণ করেছে। তারপর সেই খাবার সময় তাদের দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিইয়েছে। সেটার ভিডিও করা হয়েছে। সেই ভিডিও খুব গর্বের সাথে পোস্ট করা হয়েছে তাদের ফেইসবুক পেইজে। তাদের পেইজের বক্তব্য অনুযায়ী ১০টি স্কুলে এভাবে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এতো আয়োজন, এতো প্রকাশ্য আত্মবিশ্বাস থাকার কারণ সম্ভবত এই যে তারা কাজগুলো করেছে প্রশাসনের অনুমোদন নিয়েই করেছে।
অন্যদিকে পত্রিকা এবং টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ব্রিফিং করে বলা হচ্ছে তরুণরা যদি ইসলাম পালন করতে শুরু করে, গান না শোনে, টিভি না দেখে, তাহলে সেটা জঙ্গিবাদের লক্ষণ। মুসলিমরা যদি ইসলামী শাসন চায়, ইসলামের বিধিবিধান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে যায় তাহলে সেটা উগ্রবাদ। যদি ইসলামের সাথে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক হবার কারণে কোন সামাজিক কিংবা জাতীয় অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কারো আপত্তি থাকে তাহলে সে জঙ্গি। যদি কোন তরুণতরুণী নিজ পরিবারে, অর্থাৎ মুসলিমদের কাছে ইসলাম প্রচার করে, তাহলেও সে জঙ্গি।
একদিকে স্কুলে ঢুকে ‘হরে রাম, হরে কৃষ্ণ’ স্লোগান দেয়ানো হচ্ছে, খাওয়ানো হচ্ছে প্রসাদের খাবার। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সব কার্যকলাপ অন্যদিকে ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানতে গেলে শরীরে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে জঙ্গি ট্যাগ। স্কুলে ঢুকে আজ যদি ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে বলা হয় তাহলে হয়তো ক্রসফায়ার হতে খুব বেশি দেরি হবে না।
এই হল ২০১৯ এ, আরএসএস আগ্রাসনের কালে আমাদের বাস্তবতা।