“ধর্ম যার যার উৎসব সবার”?


“ধর্ম যার যার উৎসব সবার”?

আসুন আরগুমেন্টটা ঠিকঠাক উপস্থাপন করা যাক –

ধর্ম যার যার উৎসব সবার – এই কথা যদি সঠিক হয়, তাহলে এই স্লোগান দিয়ে কি কুরবানির ঈদে, বিশেষ করে গরু কুরবানি দেখতে হিন্দুদের আমন্ত্রণ জানানো যায়? এনজয় করতে বলা যায়? কোন হিন্দু যদি তার ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে এ দিন আনন্দিত বোধ না করে, সে যদি অন্য হিন্দুদের এ দিনের উৎসবে শামিল হতে মানা করে, তাহলে কি তাকে উগ্রবাদী এবং ধর্মের ভুল ব্যাখ্যাকারী বলা যায়?

যদি যায় তাহলে, ধর্ম যার যার যেহেতু তাই আসেন সবাই একসঙ্গে গরুর মাংশ খাই, এ কথা নিয়ে চুলকানির কিছু নেই। বসে জান।

যদি না যায় তাহলে একজন মুসলিমকে কেন এই স্লোগান দিয়ে মূর্তি পূজা এবং তাগুতের উপাসনা উপভোগের সবক দেয়া হয়? কোন মুসলিম যদি তাওহিদের জায়গা থেকে এধরণের উৎসবে অন্য মুসলিমদের শামিল হবার বিরোধিতা করে তবে তাঁকে কেন উগ্রবাদী, চরমপন্থী, জঙ্গি ইত্যাদি বলা হয়? কেন এক সাম্প্রদায়িকতা বলা হয়?

মুসলিমদেরকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয় মেনে নিতে বলা হল উদারতা। প্রগতিশীলতা এবং অসাম্প্রদায়িকতা। কিন্তু হিন্দুদের সেটা বলা হল অন্য কিছু?

ডাবল স্ট্যান্ডার্ডটা বোঝা গেছে?

অত্যন্ত আফসোসের বিষয় যে কাগজে কলমে ৯০% এর চেয়ে বেশি মুসলিমের ভূখন্ডে এই ভাবে এ ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *