অনলাইনে সালাফিব্যাশিং এর নতুন ট্রেন্ড দুটো কারণে ডিসেপটিভ এবং ভুল বলেছিলাম-
- সালাফিদের ঢালাও ভাবে ‘দরবারী’ বলা বাস্তবতার নিরিখে ভুল
- ‘দরবারী’ কর্মকান্ডে সালাফিদের মনোপলি নেই। সব মাসলাকের লোকই বিভিন্ন মাত্রায় এ দোষে দোষী।
প্রথম পয়েন্ট নিয়ে আগের লেখায় বলেছিলাম। এবার দ্বিতীয় পয়েন্টের দিকে তাকানো যাক। .শরীয়াহর অপব্যাখ্যা করে শাসকগোষ্ঠীর ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডের সাফাই গাওয়া, এবং তাদের যুলুম, ফিসক ও কুফরকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা এমন একটা অসুখ যার ওপর কোন নির্দিষ্ট স্কুল অফ থটের একচেটিয়া আধিপত্য নেই। বিভিন্ন মাসলাকের মানুষের মধ্যে এটা দেখা যায়। কিন্তু আজকালকার অনলাইন আলোচনায় এ ধরণের প্রবণতার সাথে প্রায় এক্সক্লুসিভভাবে সালাফিদের নাম যুক্ত করা হয়।
এটা করার একটা কারণ হল জামী-মাদখালীদের কর্মকান্ড। ঠিক আছে, ধরে নিলাম জামী-মাদখালীদের কাজের দায়ভার কিছুটা হলেও সামগ্রিক সালাফি আন্দোলনের ওপর আসে। কিন্তু একই ধরণের, কিংবা এর চেয়েও প্রকট ‘দরবারী’ এবং ‘সুবিধাবাদী’ কর্মকান্ড যখন অ-সালাফি ব্যক্তিদের মাঝে দেখা যায়, তখন সেটার দায়ভার কী অন্য মাসলাকগুলোর ওপর বর্তায় না? এই ধরণের কর্মকান্ডের কিছু উদাহরণ দেখা যাক, তাহলে হয়তো আমার প্রশ্নের যৌক্তিকতা আরো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।
মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যে দেশটির শাসকগোষ্ঠী বর্তমানে অ্যামেরিকা এবং ইস্রাইলের সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং পশ্চিমের প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী ইসলামের ‘মডারেইশান’ এর এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে সেটা হল আরব-আমিরাত (ইউএই)। আমিরাতের মুহাম্মাদ বিন যাইদ আরববিশ্বে শুধু ইস্রাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র না, বরং সে এক অর্থে মুহাম্মাদ বিন সালমানের গুরুও। বিন যাইদ এবং আমিরাতের অপকর্মের লিস্ট বিশাল। অল্প কিছু বলা যাক।
আমিরাত ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইস্রায়েলের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া করেছে, মিশরে খুনী সিসিকে এবং লিবিয়াতে মার্কিন এইজেন্ট হাফতারকে সাহায্য করেছে। সাউদির সাথে মিলে ইয়েমেন আক্রমন করে তৈরি করেছে মানবিক বিপর্যয়। অ্যামেরিকাতে ৩০টির বেশি ইসলামবিদ্বেষী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন করেছে। মালিতে ফ্রান্সের আগ্রাসনকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সহায়তা করেছে। আবু ধাবিতে গির্জা এবং মন্দির তৈরি করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার দান করেছে নরেন্দ্র মোদীকে। ইন্টার-ফেইথের কুফরি আদর্শের চিহ্ন হিসেবে আবু ধাবিতে ‘অ্যাব্রাহ্যামিক হাউস’ তৈরি করেছে, যেটা একই সাথে সিনাগগ, চার্চ এবং ‘মাসজিদ’ [১]।
এসব কাজকর্মের পাশাপাশি আমিরাতি শাসকগোষ্ঠী তাদের আশেপাশে বিভিন্ন আলিমদের রেখেছে যাদের কাজ হল বিন যাইদের এসব কর্মকান্ডের সাফাই গাওয়া এবং এগুলোর বৈধতা দেয়া। এসব আলিমদের মধ্যে বিখ্যাত দুজনের নাম বলি। আব্দুল্লাহ বিন বায়্যাহ এবং হামযা ইউসুফ। দুজনেই অ-সালাফি, আশআরী এবং সুফি। এবং দু’জনেই খুবই উৎসাহের সাথে আমিরাতের এসব কর্মকান্ডকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে [২]।
হামযা ইউসুফের এধরনের কথা এবং কাজের ইতিহাস অবশ্য বেশ পুরনো। চমৎকার বাচনভঙ্গি, চোস্ত ইংরেজি ও আরবীর মিশেলে বক্তব্য, মডার্ন সেন্সিবিলিটি অনুযায়ী আকর্ষনীয় চেহারা, পাণ্ডিত্যসহ নানা কারণে কারণে হামযা ইউসুফ সারা বিশ্ব জুড়ে পরিচিত নাম। কিন্তু তার ‘সুবিধাবাদী’ কাজগুলোর ব্যাপারে মানুষ তেমনভাবে জানে না। ২০০১ সালে আফগানিস্তান আক্রমন করে অ্যামেরিকা যখন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর নামে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলো, তখন হামযা ইউসুফ ছিল জর্জ ডাবিউ বুশের একজন উপদেষ্টা। কংগ্রেসে বুশের যুদ্ধ ঘোষণার ভাষণ শুনে যারা তালি দিচ্ছিলো হামযা ইউসুফ ছিল তাদের অন্যতম[৩]। ২০১৯ সালে গঠিত ট্রাম্পের প্রশাসনের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিল ইউসুফ। [৪]। হামযা ইউসুফ মনে করে ইসলাম এবং সেক্যুলারিসমের মধ্যে মৌলিক কোন সংঘাত নেই এবং ইসলামী রাষ্ট্রের ধারণা একটা ফ্যান্টাসি [৫]। কোন মাদখালী এককভাবে এতোগুলো কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই।
ইউসুফ আরো মনে করে ইসলামে ‘খিলাফাহ’র কোন প্রয়োজন নেই এবং এটা মুজমা আলাইহ! [৬] ফিলিস্তিনের ব্যাপারে হামযা ইউসুফ মনে করে, ফিলিস্তীনের মুসলিমদের উচিৎ সব ধরণের ‘সহিংসতা’ বন্ধ করা এবং বিশ্ববাসীকে বলা-‘আমরা দুর্বল, আমরা অসহায়, আমাদের সাহায্য করো’। এটুকু করলেই নাকি বিশ্ব তাদের প্রতি সহমর্মী হয়ে সাহায্য করবে। কিন্তু পাথর ছুড়ে, আগ্রাসনের প্রতিরোধ করে ফিলিস্তিনীরা আসলে ভুল করছে [৭]। সিরিয়ার ব্যাপারে ইউসুফ হাসতে হাসতে বলে, সিরিয়ার মুসলিমরা আজ নির্যাতিত হচ্ছে কারণ তারা বাশারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। এ কারণেই তাঁরা আজ অপমানিত এবং লাঞ্ছিত [৮]। এছাড়া ইস্রাইলের সাথে আমিরাতের ‘শান্তিচুক্তির’ পর হামযা ইউসুফ এবং আব্দুল্লাহ বিন বায়্যাহ মার্কিন উগ্র যায়োনিস্ট প্রতিষ্ঠান অ্যান্টি ডেফেমেইশান লীগের সাথে ইন্টার-ফেইথের ব্যানারে মত বিনিময় সভা করেছে [৯]। হামযা ইউসুফের এসব বক্তব্য তার অসংখ্য ভক্ত সমর্থন করেছে। এসব ভক্তের মধ্যে মুহাম্মাদ গিলানের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাক্তি ও দা’ঈও আছে, যারা নানা মেন্টাল জিমন্যাস্টিকস করে ইউসুফের এসব কথাকে বৈধতা দিতে চেয়েছে।
জামী-মাদখালীদের কাজের কারণে যদি সব সালাফি দরবারী হয়, তাহলে বিন বায়্যাহ, হামযা ইউসুফ এবং সমগোত্রীয়দের কারণে সব সুফি কিংবা সব আশ’আরীকে কেন দরবারী মনে করা হবে না? কনসিসটেন্সি কোথায়?
অবশ্য হামযা ইউসুফের কর্মকান্ডকে রমাদান বুতির তুলনায় একেবারে হালকাই বলতে হয়। যালিম এবং কাফের শাসকগোষ্ঠীর অপরাধ বৈধতা দেয়ার ক্ষেত্রে যে দৃষ্টান্ত আল-বুতি স্থাপন করেছে, সেটার ধারেকাছে পৌছানো হয়তো কারো পক্ষ সম্ভব না। সত্তরের দশকের শেষ থেকে ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রমাদান (নাকি ‘রমজান’?) আল-বুতি সিরিয়ার নুসাইরি শাসক পরিবার হাফেয আল আসাদের একনিষ্ঠ আনুগত্য করে গেছে। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর ইজমা অনুযায়ী নুসাইরিরা মুশরিক, কিন্তু ‘আল্লামা বুতি’ হাফেয আল আসাদ এবং তার পুত্র বাশারকে সাচ্চা মুসলিমের সার্টিফিকেট দিয়েছে। হাফেযের জানাযা পড়িয়েছে, তাকে নিজের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছে। ১৯৭৯ সালে সিরিয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড এবং আত-তালিয়াতুল মুকাতিলাহ নুসাইরি হাফেযের যুলুম এবং শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। জবাবে হাফেযের বাহিনী হামাসহ সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে ভয়ঙ্কর ম্যাসাকার চালায়। আল-বুতি তখন হাফেযকে সমর্থন করে।
২০১১ সালে যখন সিরিয়াতে বিল্পব শুরু হলে আল বুতি আগের মতোই আসাদ পরিবারের পক্ষ নেয়। আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী সুন্নি মুসলিমদের ‘আবর্জনা’ আখ্যা দেয়। বাশারের হয়ে আহলুস সুন্নাহর ওপর ধর্ষন এবং ম্যাসাকার চালানো বাহিনীর সদস্যরা যখন নিহত হয় আল-বুতি তাদের মৃত্যুকে সাহাবায়ে কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)-এর মৃত্যুর সাথে তুলনা করে! মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল-বুতি আহলুস সুন্নাহর ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো নুসাইরি আসাদকে দিয়ে যায়। সিরিয়াতে আসাদ বাহিনী কী করেছে এটা আসলে একটা না দশটা পোস্টেও লিখে বোঝানো সম্ভব না, এই পোস্টের কমেন্টে একটা ছোট্ট উদাহরণের লিঙ্ক দিচ্ছি। আর যারা মোটামুটি একটা ধারণা পেতে চান তারা সাংবাদিক স্যাম ড্যাগারের ‘আসাদ, অর উই বার্ন দা কান্ট্রি’ বইটি দেখতে পারেন ।
আল-বুতির এসব কর্মকান্ডের ফিরিস্তি আমার নিজের বানানো না। শাইখ মুহাম্মাদ আলি আস-সাবুনি রাহিমাহুল্লাহ এর মতো হানাফি, আশআরী আলিমরা আল-বুতির এসবের সাক্ষ্য দিয়েছেন [১০]। তারপরও আল-বুতির কর্মকান্ডের সাফাই গাওয়ার লোকের অভাব হয় না। এবং আল-বুতির প্রশংসা করা কিংবা তার কর্মকান্ডের প্রচার করার সাথে ঐ ধরণের স্টিগমা যুক্ত করা হয় না যা সালাফিদের ব্যাপারে আজ ঢালাও ভাবে করা হয়। সহজ দুটো উদাহরণ দেই। রমাদান আল বুতি অনেক বড় আলেম। রবী আল মাদখালীও মুহাদ্দিস আলিম। কেউ যদি রবী আল-মাদখালীর কোন ইলমী লেখা বা প্রবন্ধ অনুবাদ করে তাহলে তাকে ‘মাদখালী’ বলা হবে নেতিবাচক অর্থে। কিন্তু কেউ যদি আল-বুতির কোন রচনা অনুবাদ করে তখন সেই কাজটার সাথে কোন নেতিবাচক কথা যুক্ত করা হবে না। যদিও ব্যক্তি পর্যায়ে আমার জানা মতে রবী আল-মাদখালী এমন কোন কাজ এখনো করতে পারেনি যা আল-বুতির এসব ভয়াবহ অপরাধের ধারেকাছে যায়।
এবং এটাই হল ফান্ডামেন্টাল ইমব্যালেন্স। শাসকের অপরাধের সাফাই গাওয়া, যুলুমের প্রতিরোধকে অন্যায় সাব্যস্ত করার মতো কাজ যখন সালাফিদের মধ্যে একটি ধারা করছে তখন ঢালাওভাবে সব সালাফিদের দরবারী বলা হচ্ছে, সুবিধাবাদী ইসলামের কথা বলা হচ্ছে। যদিও এই প্রবণতার সবচেয়ে দালীলিক এবং কড়া সমালোচনা করেছে সালাফিরাই। অন্যদিকে একই ধরণের কিংবা আরো গুরুতর অপরাধ যখন কিছু সুফী করছে তখন ঢালাওভাবে সব সুফীদের তো দরবারী বা সুবিধাবাদী বলা তো হচ্ছেই না, বরং যারা এই কাজগুলো করছে ইনিয়েবিনিয়ে তাদের পক্ষে অজুহাত দেয়া হচ্ছে। তাদের আলোচনা, রচনাবলী ইত্যাদিকে নরমালাইয করা হচ্ছে। আমি বলছি না যে, ঢালাওভাবে কোন মাসলাককে বা সব মাসলাককে দরবারী বলতে হবে। আমি এধরণের ঢালাও ট্যাগিং এর বিরুদ্ধেই বলছি। তবে আমি এটাও দেখতে পাচ্ছি যে এধরণের ঢালাও ট্যাগিং অন্য কারো ক্ষেত্রে হচ্ছে না, শুধু সালাফিদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে।
এধরণের ডাবলস্ট্যান্ডার্ডের আরো অনেক উদাহরণ দেয়া সম্ভব। আল-আযহারের ইসলামকে ‘মডার্নাইয’ (পড়ুন, বিকৃত) করার ঘোষিত এজেন্ডা, নাসের, সাদাত, মোবারক এবং সিসির প্রতি সমর্থন। চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং পুতিনের পোষা কুকুর কাদিরভের আয়োজনে করা ‘সুন্নী ইসলাম’ সম্মেলন। উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নির্যাতন উপেক্ষা করে অর্ধেকের বেশি উইঘুরদের কাফের বলে দেয়া হাবিব আল জিফরির বক্তব্য। ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর সক্রিয় অংশীদার পাকিস্তানী সরকার এবং না-পাক আর্মির প্রতি- লাল মসজিদ এবং উপজাতীয় অঞ্চলে অমানবিক ‘যারবে আযাব’ অপারেশনের প্রতি বিভিন্ন দেওবন্দী আলিমদের সমর্থন। ‘রামজী’-র শিক্ষার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া মাদানী সাহেব। আমাদের নিজেদের ঘরের শোকরানা মাহফিল, লক্ষ জনের ফতোয়া, ‘কুকুর কোটায়’ হজ্ব…
উম্মাহর রক্তের দাগ আর শাসকের গোলামির কালিমা থেকে কারো হাতই পরিস্কার না। তবু সব কিছু অস্বীকার করে সালাফিদের দরবারী এবং সুবিধাবাদী বলাটা কোন অর্থে ইনসাফ হতে পারে?
বরং আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অন্য সালাফিরা যতো তীব্রভাবে জামী-মাদখালীদের বিরোধিতা করে, খন্ডন করে এবং তাদের ব্যাপারে সতর্ক করে, অন্য মাসলাকের লোকজন সেইভাবে নিজেদের মাসলাকের দরবারী আল্লামাদের ব্যাপারে কথা বলে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব প্রবণতার বিরোধিতা করা ব্যক্তিরাও ইনিয়েবিনিয়ে ‘বুজুর্গ’দের এসব কাজকে বৈধতা দেয়ার, বা কমসেকম তাদের পক্ষে অজুহাত দেয়ার চেষ্টা করেন।
এতো সব বাস্তবতার পরও কেউ যদি ঢালাওভাবে সালাফিদের দরবারী বলতে চায় এবং এই প্রবণতাকে শুধু সালাফিদের সাথে সম্পৃক্ত করতে চায়, তাহলে সে হয় অজ্ঞ অথবা অসৎ। অসৎ কারণ সে নিজের বিদ্বেষকে নৈতিকতার পোশাক পরাতে চাচ্ছে এবং সালাফিদের ক্ষেত্রে যে মানদণ্ড ব্যবহার করছে সেটা অন্যদের ক্ষেত্রে করছে না।
আসল কথা হল, আলিম এবং দা’ঈদের জন্য শাসকের কাছাকাছি হওয়া হল ফিতনাহ। এই ফিতনাহ কোন নির্দিষ্ট মাসলাক কিংবা স্কুল অফ থটের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। মুসলিম জাতির ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে, এবং যে কোন ঘরানার মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত হবার পর শাসকের পলিটিকাল এজেন্ডাকে এবং নিজেদের আপসকামীতাকে নিজ ঘরানার ডিসকোর্সের রীতি অনুযায়ী একেকজন একেকভাবে জাস্টিফাই করে। পার্থক্য এখানেই।
এই ফিতনাহ থেকে যারা বাঁচতে চায় তাঁদের জন্য করণীয় হল প্রথমে মহান আল্লাহর সাহায্য চাওয়া এবং হক্বপন্থী আলেমদের অনুসরন করা। পাশাপাশি তাঁদের দায়িত্ব হল হক্ব বাতিলের প্রশ্নে মাসলাকগত সংকীর্ণতাকে বাদ দেয়া। দোষ যারই হোক সেটা স্বীকার করার সৎ সাহস রাখা এবং হক্ব যে উৎস থেকে আসুক তা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকা।
[১] https://twitter.com/nottaalib/status/1389077482570227712
[২]https://twitter.com/emarattv/status/1305878736290697218https://5pillarsuk.com/…/shaykh-hamza-yusuf-supports…/
[৩] https://www.youtube.com/watch?v=ti963XL-kAg – ১৫.৫৯ এবং অন্যান্য।
টোনি ব্লেয়ার এবং লরা বুশের পেছনের সারিতে
[৪] https://www.middleeasteye.net/…/muslim-scholar…
[৫] https://www.youtube.com/watch?v=BV2biid2SSA
[৬] https://www.youtube.com/watch?v=I-acadw1YWU
[৭] https://twitter.com/Astudent1r/status/1372948252417425411
[৮] https://www.youtube.com/watch?v=1xDF2yW7cQg
[৯] https://twitter.com/JGreenblat…/status/1070773889704312833