মুসলিম হিসেবে আধুনিক সময়ে আমাদের একটা সংঘাতের মোকাবিলা করতে হয়। আমরা প্রায় সবাই নিজের মধ্যে একটা পরস্পরবিরোধিতা অনুভব করি। একদিকে আমরা নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দিই। অন্যদিকে আমরা দেখছি, বাস্তবতা, নৈতিকতা ও শাসনের মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে সমাজ, বিজ্ঞান, শিল্প, মিডিয়া থেকে যে দৃষ্টিভঙ্গি আমরা শিখছি, তার সাথে ইসলামের অনেক অবস্থান মেলে না।
সাম্য, স্বাধীনতা, অধিকারের মতো আধুনিকতার মৌলিক অনেক ধারণার সাথে ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধানের তীব্র সাংঘর্ষিকতা আমাদের চোখে ধরা পড়ে। পর্দা, বহুবিবাহ, ইসলামী দণ্ডবিধি, শরীয়াহ শাসন, জিহাদ, পরিবার ও সমাজে নারী অবস্থানসহ ইসলামের এমন অনেক বিষয় আছে আধুনিকতার মানদণ্ডে বিচার করলে যেগুলোকে ‘যৌক্তিক’, ‘আধুনিক’, ‘মানবিক’ কিংবা ‘উপযুক্ত’ বলে মনে হয় না। ইসলাম ও আধুনিকতার এই সংঘাত আধুনিক মুসলিমের সামনে আসে বিভিন্ন প্রশ্ন কিংবা সংশয়ের আকারে। হয়তো বিশেষ কোনো বিধানের ব্যাপারে প্রশ্নের উদয় হয়। হয়তো কোনো আয়াত কিংবা হাদীস নিয়ে অন্তরে সংশয় কাজ করে। কিন্তু সমস্যা আসলে দু-একটা বিধান কিংবা কোনো নির্দিষ্ট আয়াত বা হাদীস নিয়ে না। সমস্যার শেকড় আরও অনেক গভীরে। এই শেকড়কে চিনতে না পারলে এই প্রশ্ন আর সংশয়গুলোর সন্তোষজনক সমাধান করা সম্ভব না।
আমাদের এই সংঘাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কারণ, আধুনিকতা এবং ইসলামের মধ্যে মৌলিক দ্বন্দ্ব আছে। ইসলাম আমাদের যে ওয়ার্ল্ডভিউ (worldview) বা বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি দেয় আর আধুনিক দুনিয়ার যে ওয়ার্ল্ডভিউ, তা আলাদা। এ দুই ওয়ার্ল্ডভিউয়ের ভিত্তি হিসেবে যে ধারণাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো আলাদা। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী। এটাই হলো সমস্যার শেকড়।
ওয়ার্ল্ডভিউ কী? ওয়ার্ল্ডভিউ হলো চিন্তার কাঠামো। ওই কাঠামো, যার সাপেক্ষে, যার মাধ্যমে আমরা বাস্তবতাকে বোঝার চেষ্টা করি। আমাদের ওয়ার্ল্ডভিউ-ই ঠিক করে দেয় বাস্তবতাকে আমরা কীভাবে দেখি, বুঝি, ব্যাখ্যা করি। ওয়ার্ল্ডভিউকে চিন্তার ভাষা মনে করতে পারেন। প্রত্যেকের যেমন নিজস্ব ভাষা থাকে, তেমনিভাবে প্রত্যেকের একটা ওয়ার্ল্ডভিউ থাকে৷ হয়তো তারা সেটাকে ‘ওয়ার্ল্ডভিউ’-এর মতো গালভরা কোনো শব্দ হিসেবে চেনে না, কিন্তু শব্দের পেছনের জিনিসটা কমবেশি সবার মধ্যেই থাকে। ওয়ার্ল্ডভিউ হলো ওই লেন্স, ওই চশমা যার ভেতর দিয়ে আমরা পৃথিবীকে দেখি।
কী আছে, কী নেই? কোনটা বাস্তব, কোনটা অবাস্তব?
জ্ঞান কী, জ্ঞানের উৎসগুলো কী? জ্ঞানের মানদণ্ড কী?
মানুষ কী? মানুষ কে? আমরা কোথা থেকে এলাম, কোথায় যাচ্ছি?
জীবনের উদ্দেশ্য কী? ভালোমন্দের মাপকাঠি কী? এই মাপকাঠি অনুযায়ী কীভাবে মানুষের বেঁচে থাকা উচিত?
কোন নীতির ভিত্তিতে সমাজ চলবে? আইনের উৎস কী হবে? শাসনের ভিত্তি কী হবে?
– প্রত্যেক সমাজ আর সভ্যতা এ প্রশ্নগুলো করেছে। হয়তো শব্দ ভিন্ন হয়েছে, উপস্থাপনায় পার্থক্য হয়েছে, কিন্তু মৌলিকভাবে প্রত্যেক সভ্যতা এই জিজ্ঞাসাগুলোর জবাব খুঁজেছে। এগুলো মানবঅস্তিত্বের মৌলিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে প্রত্যেক সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও দর্শনের কিছু নির্দিষ্ট উত্তর এবং মাপকাঠি থাকে। এগুলো নিয়েই গঠিত হয় তার ওয়ার্ল্ডভিউ।
ইসলামের স্বতন্ত্র ওয়ার্ল্ডভিউ আছে। এই ওয়ার্ল্ডভিউ সত্য, সর্বজনীন, অপরিবর্তনীয়। যে আধুনিক সভ্যতার অধীনে আমরা বসবাস করি সেটারও নিজস্ব ওয়ার্ল্ডভিউ আছে। আধুনিকতাও মনে করে তার ওয়ার্ল্ডভিউ সত্য ও সর্বজনীন। এ দুটো ওয়ার্ল্ডভিউ মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক।
ইসলামের ওয়ার্ল্ডভিউয়ের ভিত্তি হলো
- আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস (কুফর বিত ত্বাগুত, ঈমান বিল্লাহ),
- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রিসালাত
- এবং ওয়াহি (কুরআন, সুন্নাহ)
এই তিনটি ভিত্তিকেই আধুনিকতা অস্বীকার করে। বাস্তবতা, জ্ঞান, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, আইন–কোনো কিছুর ব্যাপারেই জ্ঞানের উৎস হিসেবে ওয়াহিকে আধুনিকতা স্বীকার করে না; বরং সবকিছুর ভিত্তি দাবি করা হয় মানবীয় যুক্তি, বুদ্ধি এবং ধ্যানধারণাকে৷ ইসলাম মানবীয় যুক্তি, চিন্তা এবং বিজ্ঞানকে জ্ঞানের উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ইসলামের অবস্থান হলো চূড়ান্ত এবং সুনিশ্চিত জ্ঞানের উৎস একটিই–ওয়াহি। অন্যদিকে বস্তুবাদী সভ্যতা ওয়াহিকে অস্বীকার করে। যদি অস্বীকার নাও করে, তাহলে কমসেকম অপ্রাসঙ্গিক মনে করে। এ দুটো অবস্থান সাংঘর্ষিক। এই সাংঘর্ষিকতার ফলে আধুনিক সময়ের মুসলিম হিসেবে অনেক সংশয় এবং টানাপড়েন আমাদের সামনে উঠে আসে।
কারণ, আমরা একই সাথে এই দুই সাংঘর্ষিক ওয়ার্ল্ডভিউকে ধারণ করার চেষ্টা করছি। আমরা একদিকে মুসলিম, অন্যদিকে আমরা এই সভ্যতারই সন্তান। আধুনিকতার মাঝেই আমাদের বেড়ে ওঠা। নিজের অজান্তেই এই সভ্যতার অন্তর্নিহিত চিন্তাগুলো আমাদের প্রভাবিত করেছে। নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে, যাপিত জীবনের সাথে আধুনিক সভ্যতার বস্তুবাদী ধ্যানধারণাগুলো আমরা শুষে নিয়েছি। নিজের অজান্তেই বাস্তবতা, মানবজীবন, জীবনের উদ্দেশ্য, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, শাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে এমন অনেক অবস্থান আমরা গ্রহণ করে নিয়েছি, যা গভীরভাবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।
আধুনিকতার এই ওয়ার্ল্ডভিউ মুসলিমরা স্বেচ্ছায় বেছে নেয়নি। ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ অস্ত্রের জোরে আমাদের ওপর তা চাপিয়ে দিয়েছে। ধাপে ধাপে শাসনব্যবস্থা, সমাজ ও শিক্ষা থেকে ইসলামকে তারা মুছে দিয়েছে। তারপর সেখানে বসিয়েছে তাদের নিজস্ব ধ্যানধারণা, মূল্যবোধ, পদ্ধতি, প্রতিষ্ঠান ও মতবাদ। দখলদারিত্বের অধীনে থাকতে থাকতে একসময় আমরাও এগুলোকে অমোঘ বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিয়েছি। এগুলোকে আমরা এখন আর ইউরোপের ইতিহাসের নির্দিষ্ট সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রেক্ষাপট থেকে বের হয়ে আসা দার্শনিক চিন্তার ফসল মনে করি না; বরং এই ব্যবস্থা, মূল্যবোধ এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা মনে করি সহজাত, সর্বজনীন ও চিরন্তন।
আধুনিকতার ঠিক করে দেয়া চিন্তার ছক আর কাঠামো থেকে আমরা সহসা বের হতে পারি না। এর ভেতরেই আমাদের চিন্তা। আধুনিকতার মতবাদগুলোর প্রস্তাবনা আর অনুসিদ্ধান্তগুলোকে আমাদের কাছে ‘কমনসেন্স’, স্বতঃসিদ্ধ অথবা স্বপ্রমাণিত বলে মনে হয়।
আমাদের চিন্তা আধুনিকতার ওয়ার্ল্ডভিউয়ের ওপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে ইসলামের সত্য এবং সৌন্দর্যকেও আধুনিক মুসলিম স্বতন্ত্রভাবে চিনতে পারে না। ইসলামের সত্যকে তার বুঝতে হয় ‘মানবতা’, ‘অধিকার’, ‘স্বাধীনতা’, ‘সাম্যের’ মতো ধারণার পশ্চিমা সমীকরণের ভেতরে ফেলে। আর ইসলামের কোনো কিছু যখন এই কাঠামোর সাথে মেলে না তখন তার মধ্যে সংকট তৈরি হয়। কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজন্ম, সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম কিন্তু এভাবে ইসলামকে বোঝেননি। ইসলামকে তাঁরা চিনতে পেরেছিলেন চিরন্তন সত্য এবং সৃষ্টিজগতের মালিকের কাছ থেকে আসা দিকনির্দেশনা হিসেবে। সেই ইসলাম আজও আছে কিন্তু আমরা মুসলিমরা বদলে গেছি।
আমরা জানি মহান আল্লাহ সত্য, আমরা জানি তাঁর দ্বীন সত্য। কিন্তু সামনে ইসলামের স্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও আধুনিক মুসলিম বিনা প্রশ্নে সেটাকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারছে না। সত্য সামনে থাকা সত্ত্বেও যেন তার কাছে অদৃশ্য।
ইসলাম ও আধুনিকতার এ সংঘাত আধুনিক মুসলিমের সামনে হাজির হয় কিছু প্রশ্ন আর সংশয়ের আকারে–
- ইসলাম কি পূর্ণ ব্যক্তিস্বাধীনতা সমর্থন করে?
- ইসলাম কি পূর্ণ বাকস্বাধীনতা সমর্থন করে?
- ইসলাম কি মুক্তচিন্তা সমর্থন করে?
- ইসলাম কি ধর্মীয় স্বাধীনতা সমর্থন করে?
- ইসলাম কি গণতন্ত্র সমর্থন করে?
- ইসলাম কি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ সমর্থন করে?
- কুরআন-সুন্নাহর সব অবস্থান কি আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
- ইসলাম নারীবাদকে সমর্থন করে?
- ইসলাম কি সর্বজনীন মানবাধিকারকে সমর্থন করে?
- ইসলাম কি সর্বাবস্থায় শান্তি এবং অহিংস পথকে সমর্থন করে?
এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হবার পর আধুনিক মুসলিমদের মধ্যে সাধারণত দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
একদল বলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নেতিবাচক। ইসলাম এগুলো সমর্থন করে না। কাজেই ইসলাম সত্য ধর্ম হতে পারে না। এরা ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়।
আরেকদল বলে, হ্যাঁ ইসলামে এগুলো সবই আছে। কারণ, যা কিছু ভালো তার সবই ইসলাম সমর্থন করে। কিন্তু এটুকু বললেই তো হবে না, প্রমাণ করতে হবে। এই আরোপিত সামঞ্জস্য প্রমাণের জন্য দ্বিতীয়দল তখন ইসলাম বিকৃত করে। ইসলামী শরীয়াহর যা কিছু আধুনিক মতবাদগুলোর সাথে খাপ খায় না, সেগুলোকে তারা বাদ দেয়ার চেষ্টা করে। কিংবা নতুন কোনোভাবে ব্যাখ্যা করার কসরত করে।
এ দুটো অবস্থানই ভুল। আর দুটো ভুলের শেকড় একই জায়গাতে। দুটো অবস্থানই স্বাধীনতা, নারীবাদ, মুক্তচিন্তা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা–ইত্যাদি ধারণাকে ধ্রুব এবং সঠিক ধরে নিচ্ছে। আধুনিক ওয়ার্ল্ডভিউয়ের মাপকাঠিকে সঠিক ধরে নিয়ে সেই মাপকাঠিতে তারা ইসলামকে মাপছে কিংবা সত্য প্রমাণ করতে চাচ্ছে। একদল আধুনিকতার মানদণ্ডে ‘উত্তীর্ণ’ না হবার কারণে ইসলাম ত্যাগ করছে। আরেক দল আধুনিকতার ছাঁচে ইসলামকে বসানোর চেষ্টা করছে। দুটো অবস্থানই পশ্চিমা বিভিন্ন মতবাদকে সত্য এবং ধ্রুব বলে মেনে নিচ্ছে।
কিন্তু এ দুই ভুল পথের বাইরে তৃতীয় একটি পথ আছে–ইসলামের অবস্থানকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে, আধুনিকতার ওয়ার্ল্ডভিউয়ের ব্যাপারে সংশয়বাদের অবস্থান গ্রহণ করা। অর্থাৎ আধুনিকতার মাপকাঠিতে ইসলামকে বিচার করার বদলে আধুনিকতাকে ইসলামের চিরন্তন মাপকাঠিতে যাচাই করা। ইসলামকে পশ্চিমা সভ্যতার অনুগামী করার বদলে পশ্চিমা ওয়ার্ল্ডভিউকে প্রশ্ন করতে শেখা। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, মানবতাবাদ, গণতন্ত্র, নারীবাদ, লিবারেলিসমসহ বিভিন্ন আধুনিক মতবাদের পেছনে থাকা ধারণা এবং পূর্বানুমানগুলোকে চিহ্নিত করা। সেগুলোকে প্রশ্ন করা। এর শেকড়গুলো মাটি খুঁড়ে বের করে আনা। সেগুলোর ব্যবচ্ছেদ করা।
ইসলাম ও আধুনিকতার ওয়ার্ল্ডভিউয়ের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের একটি। কিন্তু এই দ্বন্দ্বের প্রকৃতি এবং বাস্তবতা সম্পর্কে দুঃখজনকভাবে আমাদের মধ্যে আজও অনেক বিভ্রান্তি কাজ করে। এখানে যে আদৌ কোনো দ্বন্দ্ব আছে, সেটাই অনেকে বোঝেন না বা বুঝতে চান না। পশ্চিমা লিবারেল ক্রুসেইডের মোকাবিলার জন্য এই দুই ওয়ার্ল্ডভিউয়ের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের বাস্তবতা উপলব্ধি করা এবং এই লড়াইয়ের উপযুক্ত কৌশল বেছে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। আমি আশা করি ‘সংশয়বাদী’ এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, বিইযনিল্লাহ।
মহান আল্লাহ ‘আযযা ওয়া জাল আমাদের দ্বীন ইসলামকে ওইভাবে বোঝার এবং পালন করার তাউফিক দিন, যেভাবে পালন করেছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজন্ম–নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগণ। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেগুলোকে শরীয়তের অনুগামী করেছিলেন। অন্য সবকিছুকে বিচার করেছিলেন ইসলামের মাপকাঠিতে। রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া রাদ্বু আনহ।
মহান আল্লাহ আমাদের সেই বিশুদ্ধ সরল পথ এবং চূড়ান্ত কষ্টিপাথরের কাছে ফিরে যাবার তাউফিক দিন।
নিশ্চয় সাফল্য কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই। নিশ্চয় সকল প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ﷺ), তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবীগণের ওপর।