-
গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম হবে কিভাবে?
গণতন্ত্রের সমালোচনার মোকাবেলার জন্য আমাদের গণতন্ত্রমুগ্ধ ইসলামিস্ট ভাইদের কিছু ডিফল্ট জবাব আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যাপারে কেউ কোন কথা বললেই এ মুখস্থ কথাগুলো নিয়ে তারা হাজির হন। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত জবাব হল – গণতন্ত্রের বিকল্প কী? এতো যখন সমালোচনা করছেন তখন বিকল্প একটি পথ দেখিয়ে দেন না! ইসলাম কায়েমের সঠিক পথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে…
-
কৌশল যখন উদ্দেশ্যে পরিণত হয়
গণতন্ত্রের পাতানো খেলায় বারবার হেরেও গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থিরা গণতন্ত্রের সাফাই গেয়ে যান। নিজেদের উন্মাদনার (আইন্সটাইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী) পক্ষে নানা ব্যাখ্যা দেন। আর একসময় তারাও – খেলার মজাটাই মুখ্য, জেতা না – এর মতো একটা কথা বানিয়ে নেন। ইসলামপন্থী অনেক দল গণতন্ত্রকে প্রথমে গ্রহণ করে একটি কৌশল হিসেবে। তাদের পথচলা শুরু হয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম…
-
দ্যা হাউস অলওয়েইয উইনস
জুয়াড়িদের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত আছে,’the house always wins’। শেষ পর্যন্ত ক্যাসিনোই (জুয়াঘর) জিতবে। কিন্তু এই প্রচলন এবং আরো অনেক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও জুয়াড়িরা ধরে নেয় তারা ক্যাসিনোকে হারাতে পারবে। ক্যাসিনো একটা ব্যবসা, কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান না। ব্যবসা মাত্রই প্রফিটের চিন্তা করবে। আর মাঝারী মানের কোন ব্যবসায়ীও নিজের প্রফিটকে র্যানডম চ্যান্স বা দৈবচয়নের ওপর ছেড়ে…
-
ইসলাম ও গণতন্ত্র – সিআইএ অফিসারের পর্যবেক্ষণ
“ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মাধ্যমে শতাব্দীর পর শতাব্দী চেষ্টার পর যে রাষ্ট্রব্যবস্থার [উদারনৈতিক গণতন্ত্র] একটি কার্যকরী রূপ আমরা পশ্চিমে তৈরি করেছি, আমরা চাচ্ছি মুসলিম বিশ্বে রাতারাতি সেটা বাস্তবায়ন করে ফেলতে। এটা তো এমন না যে আপনি একটা পিসি থেকে পেনড্রাইভে কিছু ফাইল নিলেন, আর আরেকটা পিসিতে পেনড্রাইভটা লাগিয়ে ফাইলগুলো কপি-পেস্ট করে দিলেন। পশ্চিমে যে গনতান্ত্রিক ধারা…
-
মরীচিকা
১. পৃথিবীতে দুটো ধর্মের অনুসারীরা ঈসা ইবনু মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)- কে মসীহ বা মেসায়াহ হিসেবে মানে। ইসলাম ও ক্রিশ্চিয়ানিটি। এ দুটো ধর্মের অনুসারীরাই বিশ্বাস করে যে শেষ যুগে ঈসা (আলাইহিস সালাম) ফিরে আসবেন। তাঁর জীবন, কর্ম ও পরিবারের অনেক ডিটেইলের ব্যাপার এ দুটো ধর্মের অনুসারীরা একমত, অথবা তাদের অবস্থান খুবই কাছাকাছি। বর্তমানে পৃথিবীতে যতো মানুষ…
-
পুঁজিবাদের পতনের যুগ
আজ আমরা অতিক্রম করছি পুঁজিবাদী জীবনব্যবস্থার অন্তিম পর্যায়। আমরা বেঁচে আছি সিস্টেমিক ট্র্যানযিশানের এক যুগে। একটি জীবনব্যবস্থা বা সভ্যতার সমাপ্তির সময়টাতে ভবিষ্যৎ ঝাপসা এবং অস্পষ্ট মনে হতে পারে। তবে এই ধোঁয়াশার মাঝেও একটা সত্য স্পষ্টভাবে দাবি করা যায়, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা আর খুব বেশিদিন বিশ্বের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলাফল থেকে…
-
দেশী মিডিয়ার সোশ্যাল এঞ্জিনিয়ারিং এবং ট্র্যান্সজেন্ডারিসম
বিবিসি বাংলার স্পন্সরড পোস্ট। গ্লোবাল মিডিয়ার প্রধান উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল সোশ্যাল এঞ্জিনিয়ারিং। সেক্যুলার হিউম্যানিযম আর লিবারেলিযমের পক্ষে প্রপ্যাগ্যান্ডা চালানো। একটি নির্দিষ্ট ‘নৈতিকতা’ ও ‘দৃষ্টিভঙ্গি’তে -পুরো পৃথিবীর মানুষকে – বিশেষ করে তরুণদের দীক্ষিত করা। যা এক সময় মানুষের কাছে অকল্পনীয় ছিল, ছোট ছোট ধারবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সেটাকেই একসময় ‘স্বাভাবিক’-কে পরিণত করা। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বিবিসি,…
-
শরীয়াহসম্মত / দুনিয়াসম্মত
প্রথমে একটা সত্য আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে। এমন এক সময়ে আমরা বাস করছি যখন মুসলিমরা পরাজিত ও দুর্বল। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি। ফিরিঙ্গি দখলদার আমাদের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে পিঠে পুঁজিবাদ তুলে দিয়েছে। অস্ত্রের জোরে পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে তাদের ধ্যানধারণা, পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠান। স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে আমরা এগুলো গ্রহণ করিনি।…
-
সভ্যতা ও অবক্ষয় – বংশগতি
খবরগুলো নিয়মিত বিরতিতে সামনে আসে। পশ্চিমের নানা যৌন বিকৃতির বিচিত্র সব গল্প। সমকামিতা, উভকামিতা, শিশুকামিতা, পশুকামিতা, ট্র্যান্সজেন্ডার আরো কতো কী। আমরা হেসে এড়িয়ে কিংবা ভুলে যাই। অথবা পশ্চিমাদের অসভ্যতা নিয়ে ধরাবাঁধা কিছু কথা বলি। অন্য কিছু খবরও নিয়মিত বিরতিতে চোখে পড়ে। দেশে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ডিভোর্স, গর্ভপাত আর লিভ টূগেদার নিয়ে ‘চাঞ্চল্যকর’ বিভিন্ন প্রতিবেদন। মাঝে…
-
সেকশন ৩৭৭ এবং বাংলাদেশে সমকামীতা
ভারতের আদালতের রায়ে যা হয়েছে তা হল আইনিভাবে সমকামকে বৈধতা দেয়া। এটা লিগাইলাইযেইশান। তারপর আসে ব্রড সোশাল এক্সসেপট্যান্স। ব্রিটিশ আমলে, ১৮৬০ সালে সেকশন ৩৭৭ নামে একটি আইন করা হয়েছিল যেটার মূল বক্তব্য ছিল নারীপুরুষের স্বাভাবিক যৌনমিলন ছাড়া বাকি সবধরনের যৌনতা বেআইনি। এই সেকশনের ওয়ার্ডিং বেশ ব্যাপক হলেও মূলত এটি ছিল সমকামিতার ব্যাপারে। ভারতের আদালতের রায়ে…