প্রথম আলোর জরিপ থেকে কিছু তথ্য –
প্রায় ৯৭ শতাংশ বিশ্বাস করে তারা “ধর্মচর্চা” করে।
তবে –
এই ৯৭ এদের মধ্যে ৬০% এর বেশি দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ে না।
২৫% দিনে তিন বা চার ওয়াক্ত নামায পড়ে
১১.২% এক বা দুই ওয়াক্ত পড়ে
২১.৫% নামায পড়ে না শুধু জুমুআহ পড়ে
৪.৩% সেটাও পড়ে না, তবে রমাদ্বানে রোযা রাখে।
আলহামদুলিল্লাহ ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা তরুণের সংখ্যা ১০℅ বেড়েছে। ৩৭%। কিন্তু প্রায় ৫৬% মানুষ মনে করছে ইসলামের মিনিমাম আমল না করা সত্ত্বেও তারা ধর্মচর্চা করছে। তারা ধার্মিক।[1]
সহজ ভাষায়, দেশের মুসলিমদের ৯৭ % এর মতো বিশ্বাস করে। কিন্তু বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে চায় না।
বিশ্বাস করে, কিন্তু বিশ্বাসের দাবি কী, সেটা জানতে কিংবা মানতে চায় না।
বিশ্বাস করে কিন্তু কী বিশ্বাস করে সেটা জানে না।
এটা হল সেক্যুলার ধর্মচর্চা। সরাসরি নিজেদের ‘সেক্যুলার’ বলে ঘোষণা দেয়া ছাড়া এর চেয়ে বেশি সেক্যুলার হওয়া সম্ভব না। আমি ধার্মিক। ধর্মকে ভালো পাই। যখন মন চায় হিজাব আর জুব্বা পড়ে ছবি তুলি।
জাহান্নামে অনেক ধার্মিক লোক থাকবে। কিন্তু জান্নাতে থাকবে শুধু মুওয়াহ্হিদরাই। ইসলাম আর দশটা ধর্মের মতো না যে খাতায় নাম লিখিয়ে চলে গেলেই হল। ইসলাম কোন ব্যুফে না, যে পছন্দ মতো কিছু নিলাম, আর কিছু রেখে দিলাম। ইসলাম আসমান যমীনের একচ্ছত্র অধিপতি আল্লাহ্র কাছে মনোনীত একমাত্র দ্বীন। একটা লাইফটাইম কমিটমেন্ট, যা আমাদের এই জীবনকে এমন পরের জীবনের ধরণ ঠিক করে দেবে। অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে এখন আরো বেশি করে আক্বিদাহর চর্চা ও দাওয়াহ হওয়া প্রয়োজন।
আল্লাহ্ আমাদের ইসলাম সঠিকভাবে বোঝার এবং মানার তাউফিক দান করুন।
[1] Click