গাঁজা ও গণতন্ত্র


প্রিয় পাঠক, এই হলো গণতন্ত্র। সত্য, মিথ্যা, হক-বাতিল, ভালো-মন্দের সাথে কোনো সম্পর্ক এর নেই। এর কোনো সম্পর্ক নেই হালাল-হারামের সাথে।

গণতন্ত্রে কখনো গাঁজা হালাল হবে, কখনো পুরুষে পুরুষে বিয়ে। কখনো ছেলে থেকে মেয়ে আর মেয়ে থেকে ছেলে হবার জন্য উন্মাদের মতো দেহ কাটাছেঁড়ার নাম দেয়া হবে অধিকার। কারণ, গণতন্ত্রের মাপকাঠি হলো অধিকাংশের মত। অধিকাংশ যা চাইবে তা-ই আইন।

আর অধিকাংশের মত কারা ঠিক করে দেয়?

কারা আবার! যারা মিডিয়া আর বড় বড় কর্পোরেশানগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। যারা প্রপাগ্যান্ডা এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষের কামনা-বাসনা উস্কে দেয়। যারা মানুষের চাহিদা, লোভ আর খেয়ালখুশিকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই তো! তারা অধিকাংশকে শেখায় গাঁজার ধোঁয়ায় বাস্তবতাকে ভুলে থাকতে। আর অধিকাংশ যখন একে নিজেদের স্বাধীনতা মনে করে উল্লাস করে, তখন তাদের বুদ্ধি, বিবেচনা, নৈতিকতা আর সম্মানের বিনিময়ে ভারী হয় পুঁজিবাদীর পকেট।

অল্প কিছু মানুষ ছড়ি ঘোরায় বাকিদের ওপর। কখনো মুলো কখনো চাবুক দিয়ে যেদিকে ইচ্ছে সেদিকে চালায় তাদের। সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা হলো, গোলামি করা মানুষগুলো নিজেদের স্বাধীন মনে করে। নেশাগ্রস্তের মতো পরাবাস্তব কোনো জগতে ঘুরপাক খেতে থাকে তাদের চিন্তা। দাসত্বের শেকলগুলো ওরা চিনতে পারে না; বরং দাসত্বকেই আঁকড়ে ধরে মুক্তি আর অধিকার মনে করে।

ইয়াদ আল কুনাইবি

#আয়নাঘর


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *