উম্মাহর মহীরুহ, পর্ব-৬


তৃতীয়ত, তাঁর দাওয়াহর সফলতার আরেকটি কারণ ছিল তাঁর দাওয়াহতে গোপন বা লুকানো কিছু ছিল না। মুসলিম হিসেবে, কুরআন, সুন্নাহ এবং সাহাবী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া আজমাইন) পথের অনুসারী হিসেবে আমরা কিছুই গোপন করিনা। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমরা সেই সমস্ত ফিরকা বা কাল্টের মতো না যারা শুধু তখনই আপনাকে বিশ্বাস করবে, এবং নিজেদের কিতাব আপনাকে পড়তে দেবে যখন আপনি তাদের সাথে ওয়াদাবদ্ধ হবেন। এটা একধরণের গোমরাহি। আমাদের দাওয়াহর কোন কিছু গোপন না।

পুরো বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের দাওয়াহ উন্মুক্ত। আমরা প্রকাশ্যে যা বলি গোপনে তার চেয়ে বেশী বলিনা। যদি এফবিআই এবং সিআইএ আসতে চায় তাহলে তাদেরকে স্বাগতম। আমাদের গোপন করার মতো কিছুই নেই। ব্যাপারটা এমন না যে আপনাকে আগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে, তারপর আপনাকে বিশেষ কোন ম্যনিফেস্টো দেয়া হবে তারপর আপনি আমাদের দলভুক্ত হতে পারবেন কিংবা কোন বিশেষ গোপনীয় কর্মসূচী থাকবে ইত্যাদি। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্‌হাব এমন কিছু করেননি। কেন? কারণ আমাদের দাওয়াত পুরো বিশ্ববাসীর কাছে উন্মুক্ত। আপনি যদি আসতে চান, আসুন এবং জানুন, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাবের দাওয়াতী মিশনের সফলতার পেছনে এটা ছিল অন্যতম কারণ।

চতুর্থত: তাঁর দাওয়াহর সফলতার আরেকটি কারণ হল গীবাহ না করার ব্যাপারে তাঁর শক্ত অবস্থান। মানুষ তার কাছে এসে বিভিন্ন মৃত লোক সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতো। যেসব লোক জীবিত এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত তাদের ব্যাপারে তিনি বলতেন, কিন্তু অতীতের লোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি পারতপক্ষে তাদের ব্যাপারে আলোচনা করতেন না। যেমন লোকেরা কোন বেদুইনের ব্যাপারে, বা সুফীদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানাতেন। কারণ মৃত ব্যক্তিকে যদি আপনি আক্রমন করেন গালিগালাজ করেন তখন যারা মাজারপূজা করে তারা প্রথমেই আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে। তারা আরো নবউদ্যমে কবর পূজা শুরু করবে। তিনি দাওয়াহ দিতেন প্রজ্ঞার সাথে। তিনি প্রথমে মানুষকে তাওহীদ এবং শিরকের জ্ঞান দিতেন। যারা মৃত তাদের ব্যাপারে তিনি কথা বলতেন না।

যে মারা গেছে তাকে নিয়ে কথা বলে কী লাভ? এতে করে কি দাওয়াহর কল্যাণ হবে? যদি কোন নির্দিষ্ট ভ্রান্ত আক্বিদা বা বিচ্যুতির ব্যাপারে কথা বলতে চান তাহলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু ব্যাক্তির ব্যাপারে কথা বলে কী লাভ? বরং এটা দাওয়াহর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা জনগণকে তাওহীদ শেখানোর পরিবর্তে বিতর্কের প্রতি উৎসাহী করে তোলে। তারচেয়ে মানুষকে তাওহিদ বোঝান, সংশয়গুলো স্পষ্ট করুন।

তাই ইমাম মুহাম্মাদ মৃত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আলোচনা এড়িয়ে যেতেন। তবে জীবিত ব্যাক্তিদের গোমরাহী এবং বিচ্যুতির ব্যাপারে তিনি কথা বলবেন এবং তাদের ভ্রান্তির খন্ডন করতেন। কিন্তু তার লিখিত বইয়ে আপনি এ জাতীয় কথা খুব কমই দেখতে পাবেন। যখন তাঁকে সরাসরি এধরণের প্রশ্ন করা হতো তখনো তিনি সেগুলো এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করতেন। এটা ছিল দাওয়াহর ক্ষেত্রে তাঁর র প্রজ্ঞা। এটি তাকে একজন সফল দায়ী ও মুজাদ্দিদে পরিণত করেছিল।

পঞ্চমত: তিনি মানুষদের আকীদাহর দাওয়াত দিতেন। যেমনটা আমরা একটু আগে বললাম, আকীদাহ হল কাঠামো। আকীদার প্রথম ধাপ হলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। বাকি সব কিছুর অবস্থান এর পরে। আমাদের সবার বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা থাকতে পারে, কিন্ত যেদিন আপনি আপনার রবের সামনে দাঁড়াবেন সেদিন যদি আপনার আকীদাহতে গলদ থাকে তাহলে আপনার অবস্থা চরম শোচনীয় হবে। এখানে মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্‌হাবের আকীদা সংক্রান্ত দাওয়াহর ব্যাপারে যে বিষয়টি আমরা আলোচনা করতে চাই তা হল, তিনি আক্বিদার ক্ষেত্রেও কোন দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেটি সঠিকভাবে নির্ধারন করেছিলেন।

তিনি যা করতেন তা হল – ধরুন আকীদাহর ক্ষেত্রে কিছু জিনিস নতুন সংযোজিত হয়েছে। যেমন মিলাদ। এটি একটি বিদআত। কিন্তু তিনি কি সব সময় মিলাদ নিয়ে কথা বলতেন? না। তিনি ঐ বিষয়গুলোকে তাঁর দাওয়াহর প্রাধান্য দিতেন যেগুলো আক্বিদার সর্বাধিক গুরুতপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ কী?

তিনি প্রথমে ঐ লোকেদের কাছে দাওয়াহ নিয়ে যেতেন যারা কবরের কাছে প্রার্থনা করতো। এ পর্যায়ে তিনি অন্যদের কাছে যেতেন না। আপনারা জানেন যে হাদিসে আছে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা যাবে না। আর এই বিধান জারী হয়েছে নবুওয়তের ১৫ বছর পর, মদীনাতে। নবুওয়্যাতের শুরু থেকে এই বিধান আসা পর্যন্ত ১৫ বছরের ব্যবধান ছিল।

একইভাবে ইমাম মুহাম্মাদ পর্যায়ক্রমে আক্বিদাহর দাওয়াহ করতেন। যারা স্পষ্ট শিরকে লিপ্ত প্রথমে তিনি তাদের কাছে গেলেন; যারা মূর্তি পূজা করত, কুব্বার ইবাদত করতো তিনি তাদের কাছে গেলেন, এবং এর ভয়াবহ পরিণামের ব্যাপারে তাদের বোঝালেন। কারণ কেউ যদি এরকম কাজে লিপ্ত থাকে তার মুক্তির কোন আশা নেই। এটি হলো আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে সরাসরি অংশীদার সাব্যস্ত করা। আপনি যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করেন তাহলে এটি শিরকে আকবর। তারপর তিনি অপেক্ষাকৃত ছোট বিচ্যুতি ও বিদআতগুলোর দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন।

আজকে অনেকে আক্বিদাহর দাওয়াহর কথা বলে। তারা নিজেদের আকীদার ধারক বাহক মনে করে। আল্লাহর শপথ! তারা আকীদাহর পা থেকে মাথা আলাদা করার যোগ্যতা রাখে না। দাওয়াহর ক্ষেত্রে আপনাকে অগ্রসর হতে হবে বিশুদ্ধ আকীদাহর জ্ঞান নিয়ে। তারপর আপনি অন্য কিছুর দিকে নজর দিতে পারবেন। আপনাকে প্রায়োরিটি লিস্ট বানাতে হবে। কেউ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা নত করবে, আর আপনি তাকে গিয়ে কি দাঁড়ি রাখার নাসিহাহ দেবেন? এটা কি আদৌ সামঞ্জস্যপূর্ন হবে? অথচ আজ আমরা এটাই দেখতে পাচ্ছি। কেউ মাজারপূজা করছে , কাবা ঘরে তাওয়াফ করার মতো মাজার প্রদক্ষিণ করছে আর আপনি তাকে গিয়ে বললেন তোমার তো জুব্বা টাখনুর নিচে চলে গিয়েছে! মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্‌হাব আক্বিদাহর দাওয়াহর ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছিলেন যা তার সফলতার পেছনে অন্যতম কারণ।

ষষ্ঠত: মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব চাইতেন মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে আকীদাহর অনুসরণ করুক। তিনি সম্পূর্ণভাবে আকীদাহ শেখাতেন। আকীদাহ! এই শব্দটি দ্বারা কী বুঝায়? এর মানে এই নয় যে মানুষ বসে কেবল তাওহীদ উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ কিংবা আসমা ওয়াস সিফাত শিক্ষা দিবে। এবং কিছু লোক কেবল এটাই করে থাকে। বরং তিনি এমনভাবে তাওহীদের শিক্ষা দিতেন যাতে করে এমন মানুষ তৈরি হবে যে সারারাত আল্লাহর স্মরণে কেঁদে কাটিয়ে দেবে। তিনি মানুষকে এটার শিক্ষা দিতেন। তাওহিদ আল উলুহিয়্যাহ, তাওহিদ আর-রুবুবিয়্যাহ, তাওহিদ আল আসমা ওয়াস সিফাত শেখানোর পাশাপাশি তিনি মানুষকে আদবও শেখাতেন। আদব এবং শিষ্টাচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহর শপথ! আপনি সঠিক আক্বিদার অনুসারি হবার দাবি করার পর যদি আপনার আচরনে তার প্রতিফলন না পাওয়া যায় তয়াহলে আবার চেক করুন কোন আকীদার ব্যাপারে আপনি কথা বলছেন। কেননা আপনার সঠিক আকীদা নেই।

তিনি মানুষকে প্রকৃত অর্থে আকিদাহর শিক্ষা দিতেনে। তাওহীদ আল উলুহিয়্যাহ, তাওহিদ আর-রুবুবিয়্যাহ, তাওহিদ আল আসমা ওয়াস সিফাত শেখানোর পাশাপাশি তিনি আদব, আখলাক, রাতের ইবাদত, মানুষের সাথে আচরণ, অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ – ইত্যাদির পূর্নাঙ্গ শিক্ষা দিতেন। এবং একারণেই তিনি সফল হয়েছিলেন এবং চারপাশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলেন।

সপ্তমত: তিনি সুন্নাহর অনুসরণের উপর জোর দিতেন। কিভাবে সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে? তিনি মানুষকে এইভাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন যে যখন তারা কোন প্রশ্ন আনতো, তিনি বলতেন, হাদীসে এ ব্যাপারে কী বলা আছে? যে কোন বিষয়ে তিনি কুরআন ও সুন্নাহর দলিল খোঁজার মনোভাব সৃষ্টি করেছিলেন। যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রাসুলে আকরাম (ﷺ) কী করতেন তা খতিয়ে দেখার শিক্ষা তিনি দিয়েছিলেন, এবং এর মাধ্যমে তিনি একটি সফল প্রজন্ম গড়ে তুলতে পেরেছিলেন।

কিছুক্ষণ আগে আমরা মিলাদের ব্যাপারে বলছিলাম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মদিন পালন। আমরা সবাই জানি এটা একটা বিদআত। কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে শত শত পুস্তক লিখে ফেলেছেন। একশত বই একটি বিষয়ের উপর! আপনি কি জানেন মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্‌হাব কিভাবে বিদআতের খন্ডন করতেন? মাত্র দুই লাইন দ্বারা। নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) কি এটা করেছিলেন? না। তাহলে আমরা কেন এটা করতে যাব? ব্যস এতটুকুই।

১৫ শা’বান রাতের ব্যাপারে তিনি কী বলেছিলেন? তিনি কি লম্বাচওড়া খন্ডন লিখেছিলেন? না। মা আয়িশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন, বেশি কথা মানুষের চিন্তা ভুলিয়ে দেয়। ধরুন আপনি মিলাদ নিয়ে একটি লম্বাচওড়া বই লিখলেন। দেখা যাবে যাদের জন্য বই লেখা হয়েছে, বই পড়ে তারা আরো বেশি দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে যাবে। বিশেষ করে যদি তারা অজ্ঞ হয়ে থাকে। এর বদলে শুধু মাত্র দুটি লাইন যথেষ্ট।

নবী (ﷺ) কি এটা করেছিলেন?

না?

তাহলে আমরা কেন করবো?

মধ্য শা’বানে যে উদযাপন করা হয়, ইমাম মুহাম্মাদ কিভাবে সেটার মোকাবেলা করেছিলেন? তিনি প্রশ্ন করতেন?

নবী (ﷺ) কি তা করতেন? তারা বলবে না, ব্যস তাহলে তো হয়েই গেল। এভাবে বিষয়টি সহজ এবং প্রাঞ্জল হয়। তিনি অত্যন্ত পরিষ্কার এবং জনগণের বোধগম্য ভাষায় দাওয়াত দিতেন।

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব তার জীবদ্দশায় কিছু নির্দিষ্ট মানুষের আকিদা ও কার্যকলাপের খন্ডনও করেছেন। তবে এটি কেবল তাদের ক্ষেত্রেই হয়েছে যারা যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের ভ্রান্ত এবং যাদের ভ্রান্তি উম্মাহর জন্য বিপদজনক। কারো মধ্যে দুই-তিনটি ভুল থাকলে তিনি তার খন্ডন করা শুরু করতেন না। তার রচনাবলীর মধ্যে খন্ডন জাতীয় লেখা খুব কমই পাবেন।

এই ছিলেন মুহাম্মাদ ইবনুল ওহাব রাহিমাহুল্লাহ এবং এগুলো ছিল তার দাওয়াহর সফলতার পেছনের মূল কারণ। এগুলো মনে রাখুন। আল্লাহ চাইলে আপনিও তাঁর মতো সফল হতে পারবেন।

আমি আবারো বলছি, তিনি তাঁর দাওয়াহতে নতুন কিছু আনেনি। কিছু আলিম আছেন, যারা বলেছেন মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্‌হাব গভীর জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন না, অজ্ঞ ছিলেন। তাঁদের এধরণের মন্তব্যের কারণ হল ইমাম মুহাম্মাদের বইগুলো তাঁর বইগুলো খুব সাদামাটা। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বইয়ের একটি হল ‘কিতাব আত তাওহীদ’। কিতাব আত-তাওহিদে কী আছে? কুরআন, সুন্নাহ এবং পূর্ববর্তী আলিমদের অল্প কিছু উক্তি। তিনি বিশেষভাবে যেসব আলিমদের অনুসরণ করতেন তাঁদের মধ্যে আছেন ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনুল ক্বাইয়্যিম, আয-যাহাবী, ইবনু কাসীর এবং আহমাদ ইবনু হাম্বল। অধিকাংশ সময় তিনি এই আলিমদের উদ্ধৃতি দিতেন। তাঁর বইয়ের তাঁদের নিজের বক্তব্য খুব কমই পাবেন।

আমি বুঝি না কিভাবে অজ্ঞ লোকেরা তাঁকে ঘৃণা করে। যদি আসলেই তাঁকে ঘৃণা করতে হয় তবে তাঁর আগের অনেক লোককে ঘৃণা করতে হবে, কারণ তিনি নিজের পক্ষ থেকে কিছুই আনেনি। পূর্ববর্তীরা যা বলে গেছেন তিনি সেটা সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন কেবল। এবং তিনি সহজভাবে উপস্থাপন করার কারণ হল সবারই আকিদা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। কৃষক থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার, আবর্জনা পরিস্কারের দায়িত্ব থাকা ব্যক্তি থেকে শুরু করে ডাক্তার, সবার জন্য আকিদার জ্ঞান আবশ্যিক। তাই তিনি সহজ ভাষায় আকিদাকে উপস্থাপন করেছিলেন, শিক্ষা দিয়েছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *