অনেক বিশ্বাস আমাদের মুখে থাকে, অন্তরে প্রবেশ করে না। বিশ্বাসের দাবি থাকে, উপলব্ধি থাকে না। আমরা বলি রিযকের মালিক আল্লাহ। আবার আমাদের কাজ আমাদের মুখের বুলির উল্টো সাক্ষ্য দেয়। রিযকের মালিকের উপর যেন আমরা ভরসা করতে পারি না। যে বিষয়টা সেটেলড সমাজের অধিকাংশ মানুষ সেটা নিয়ে চিন্তা-দুশ্চিন্তায় হারামে লিপ্ত হয়।
আমরা বলি জীবনের নিশ্চয়তা নেই। মৃত্যু আগামীকালই আসতে পারে। কিন্তু আমাদের কাজ দেখে মনে হয় শত শত বছরের আয়ুর নিশ্চয়তা আমাদের দেয়া হয়েছে। হেলায়, আমোদে, আলস্য ভরে আমরা সময় নষ্ট করি। কিন্তু আমরা জানি না, কালকের দিনটা দেখতে পাবো কি না। পেলেও বা কীভাবে পাবো। দিনভর যা নিয়ে দুশ্চিন্তা, ছুটোছুটি করছেন, তর্ক করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, যা নিয়ে মেতে আছেন – এগুলো ধুলোর চেয়েও হালকা। কাল যদি আপনার দৃষ্টি, স্বাধীনতা, সময় বা শক্তি ছিনিয়ে নেয়া হয় – এসব কিছুর কোন মূল্য আপনার কাছেই থাকবে না।
অসীমকে ছেড়ে সীমিতের পেছনে ছোটার যৌক্তিকতা কী?
অনর্থক এই সময় নষ্টের মানে কী?
আমাদের জীবন আমাদের যাপিত দিনগুলোর সমষ্টি। বিশ্বাসীর এক একটি দিন তার আখিরাতের জন্য এক একটি ইট।
অনর্থক সময় নষ্ট না করে এমন কিছু করুন যা আপনার চলে যাবার পরও থেকে যাবে। যা থেকে আপনার সময়ের পরও আপনি উপকৃত হবেন। আপনার পরকালের প্রাসাদ সুন্দর হবে। যাতে করে আপনার চারপাশের মানুষ উপকৃত হবে। আপনি তো জানেন না কালকে দিনটি আপনি দেখবেন কি না। দেখলেও কোন অবস্থায় দেখবেন।
বড় বড় বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন, কিন্তু যে ছোট ছোট কাজগুলো আপনি নিজেই শুরু করতে পারেন সেগুলো ভুলে থাকার প্রয়োজন নেই।