ভিন্নমত মাত্রই সম্মান করতে হবে – এমন কোন কনসেপ্ট ইসলামে নেই। মতপার্থক্য আর শারীয়াহর দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য ইখতিলাফের মধ্যে পার্থক্য আছে। ইসলাম ওপেন-এন্ডেড কিছু না, যেটা নিত্য পরিবর্তিত হতে থাকবে।
একেক জন এসে একেক ব্যাখ্যা দিয়ে যাবে আর “ভিন্নমত সম্মান”-এর নামে সেটা মেনে নিতে হবে, গ্রহণযোগ্য মনে করতে হবে – এটা ইসলাম না। এটা প্লুরালিযম, সেক্যুলার ওয়েস্টের কনসেপ্ট, ইসলামের সাথে যার কোন সম্পর্ক নেই। যেসব ক্ষেত্রে ইখতিলাফ জায়েজ সেসব ক্ষেত্রেও কেউ মত দিয়ে দিলেই সেটা গ্রহণযোগ্য না। সেই মত কুর’আন-সুন্নাহর আলোকে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মুজতাহিদ ব্যক্তির সব কথাই ইজতিহাদ না, আর সবাই মুজতাহিদও না।
ইসলাম সুসংজ্ঞায়িত, সুনির্দিষ্ট কাঠামোর একটা ক্লোযড বক্স। সময়ের সাথে নতুন ইস্যুর সাথে ডিল করার মেকানিযম ইসলামে আছে। কিন্তু সময়ের সাথে ইসলামকে পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই। তাই কেউ ভিন্ন মত দিলেই সেটা সম্মান করতে হবে, “ঐক্যের খাতিরে চুপ থাকতে হবে”, কেউ ভুল করলে সেটাকে ভুল বলা যাবে না, সব মতই ইজতিহাদ, এধরনের অর্থহীন রিলেটিভিযমের ইসলামের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
পশ্চিমা আদর্শের সাথে সহাবস্থান করার জন্য, অ্যাকমোডেইট করার জন্য, আদর্শিক সংঘর্ষ এড়িয়ে যাবার জন্য ইসলামকে কাটাছাট করার যে স্কুল অফ থট, জাস্ট পশ্চিমা কনসেপ্ট ধরে ধরে হালকার ওপর ঝাপসা একটা “ইসলামি” ব্যাখ্যা দিয়ে ইজতিহাদ বা ভিন্ন মত বলে চালিয়ে সব কিছু ইসলামাইয করার যে মানহাজ – যেটাকে পশ্চিমারা “মডারেট” ইসলাম (i.e গৃহপালিত ইসলাম) বলে, এ আদর্শের সাথে কোন ঐক্য সম্ভব না। মূহুর্তের জন্য সম্ভব না। এ আদর্শের সাথে বারা (সম্পর্কচ্ছেদ।
তারা সুন্দর, সুন্দর হৃদয় ছুয়ে যাওয়া বই, ভিডিও, লেকচার লিখলে/অনুবাদ করলে/ বানালেও না। আদবের মনুমেন্ট বানালেও না। আন্তরিকতার পরাকাষ্ঠা দেখালেও না। আন্তরিক/মেধাবী/”অন্তর ছোয়া” পথভ্রষ্ট ব্যক্তি, দিন শেষে পথভ্রষ্ট-ই।
ঐক্য হক্বের ওপরে হয়। কোন অ্যাবস্ট্রাক্ট ঐক্যের খাতিরে ঐক্য হয় না। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আদর্শ আর কুফফার-তাওয়াগিতের সন্তুষ্টি অর্জন করার আদর্শ এক সাথে সহাবস্থান করতে পারে না।