“ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মাধ্যমে শতাব্দীর পর শতাব্দী চেষ্টার পর যে রাষ্ট্রব্যবস্থার [উদারনৈতিক গণতন্ত্র] একটি কার্যকরী রূপ আমরা পশ্চিমে তৈরি করেছি, আমরা চাচ্ছি মুসলিম বিশ্বে রাতারাতি সেটা বাস্তবায়ন করে ফেলতে। এটা তো এমন না যে আপনি একটা পিসি থেকে পেনড্রাইভে কিছু ফাইল নিলেন, আর আরেকটা পিসিতে পেনড্রাইভটা লাগিয়ে ফাইলগুলো কপি-পেস্ট করে দিলেন।
পশ্চিমে যে গনতান্ত্রিক ধারা গড়ে উঠেছে, তা একদিনে হয় নি। পশ্চিমা মানুষের মনস্তত্ত্ব, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মনোভাব সবকিছু বিবেচনা করে, সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়েই ধীরে ধীরে এ ব্যবস্থা আমাদের এখানে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এমনতো না যে আমাদের এখানেও কেউ গণতন্ত্র কিংবা সেক্যুলারিযমের বিরোধিতা করেনি। সেক্যুলারিযম আর গণতন্ত্রের বিরোধিতা তো খোদ পশ্চিমেই হয়েছে। আর আমরা ভাবছি মুসলিমরা এটা চুপচাপ মেনে নেবে?
অথচ তাদের ধর্ম তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের আছে এক হাজার বছরের বেশি ইসলামি রাষ্ট্রের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কোন গণতন্ত্র, কোন সেক্যুলারিযম ছাড়াই এক হাজার বছরের বেশি সময় মুসলিমরা পৃথিবী শাসন করেছে। যে সিস্টেম আমরা তাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছি, সেটা সরাসরি তাদের ধর্ম, তাদের নৈতিকতার কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক। তারা এটা কেন মেনে নেবে? পশ্চিমা নীতি নির্ধারকদের এটা বোঝা উচিৎ যে মুসলিমরা কখনই গণতন্ত্রকে, যেভাবে আমরা গণতন্ত্রকে বুঝি – তা মেনে নেবে না। মুসলিমরা ইসলাম চায়।“
ওপরের কথাগুলো সাবেক CIA- কর্মকর্তা মইকেল শ’ইয়ারের। একজন কাফির হয়ে এ সত্য যতোটা পরিষ্কারভাবে সে বুঝেছে, দুঃখজনকভাবে মুসলিম রাজনীতিবিদ আর উঠতি মুজাদ্দিদরা সেটা বুঝতে পারছেন না।