দেশী মিডিয়ার সোশ্যাল এঞ্জিনিয়ারিং এবং ট্র্যান্সজেন্ডারিসম


বিবিসি বাংলার স্পন্সরড পোস্ট। গ্লোবাল মিডিয়ার প্রধান উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল সোশ্যাল এঞ্জিনিয়ারিং। সেক্যুলার হিউম্যানিযম আর লিবারেলিযমের পক্ষে প্রপ্যাগ্যান্ডা চালানো। একটি নির্দিষ্ট ‘নৈতিকতা’ ও ‘দৃষ্টিভঙ্গি’তে -পুরো পৃথিবীর মানুষকে – বিশেষ করে তরুণদের দীক্ষিত করা। যা এক সময় মানুষের কাছে অকল্পনীয় ছিল, ছোট ছোট ধারবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সেটাকেই একসময় ‘স্বাভাবিক’-কে পরিণত করা। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বিবিসি, ডয়েচ ভেলসহ আরো বিভিন্ন গ্লৌবাল ও লৌকাল মিডিয়া আউটলেট এই দায়িত্ব খুব আন্তরিকভাবে পালন করছে।

ট্র্যান্সজেন্ডার এজেন্ডা অলরেডি পুশ করা শুরু হয়েছে। অ্যান্ড্রোজিনির দিকে এই বিকৃত মুভমেন্টের একটা সুন্দর বাংলা নামও বিবিসি দিয়েছে – ‘রূপান্তরকামী’। এর আগে বাংলাদেশের ডেইলি স্টার- এই এজেন্ডার পক্ষে প্রচারণা চালানো হয়েছিল [লিঙ্ক – https://bit.ly/2OngXCN], এবং নিশ্চিত থাকুন যে আরো হবে। গল্প, পত্রিকার ফিচার, মঞ্চনাটক, টিভি নাটক, সিনেমা, গান, ইউটিউব সেলিব্রিটি – বিভিন্ন কিছু দিয়ে প্রচার করা হবে যে, এ বিষয়টা খুব স্বাভাবিক। একজন মানুষ ভুল দেহে আটকা পড়তেই পারে। এটা হতেই পারে যে একজন মানুষ শারীরিকভাবে পুরুষ কিন্তু ভেতরে সে একজন নারী।

সেক্যুলার, সংস্কৃতিমনা ও প্রগতিশীল ক্যাম্প থেকে পূর্ণ সমর্থন দেয়া হবে। বিষয়টাকে মানবাধিকার ইস্যু বানানো হবে। এবং অবশ্যই এর সাথে নাস্তিকতারও মিশেল থাকবে কারণ কোন মানুষ “ভুল শরীরে আটকা পড়া”-র অর্থ স্রষ্টা ভুল করেন, অথবা স্রস্টা বলে কিছু নেই।

“রূপান্তরে জীবন বদলে যাওয়া”র গল্পটা দেখুন (খবরটা হিন্দুস্তানের) –
“কেউ আমাকে পরিবারের কলঙ্ক বলে, কেউ আবার মনে করে আমি দেবী। বেশ্যা তো অনেকেই বলে আমাকে। কিন্তু রুপেশ থেকে রুদ্রাণী হয়ে ওঠায় আমার কোনও লজ্জা নেই। বাড়িতে আমিই সবার বড় ছিলাম। কিন্তু কখনও আমার শরীর নিয়ে সহজ হতে পারতাম না। নিজেকে মনে হত একটা ছেলের শরীরে যেন বন্দী হয়ে আছি।আমার হাবভাব সবই মেয়েদের মতো ছিল – সাজতে ভালবাসতাম খুব।

যত বড় হতে লাগলাম, ততই ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করলাম। কিন্তু কোনও সময়েই আমার মনের কথা প্রকাশ করে উঠতে পারি নি – সমাজের চোখে আমি তখন নিজেও তো ছেলে! আমার নাম তো তখনও রুপেশ। শুধু বাড়ির ভেতরে আমি মেয়ে। সেই সময়েই আমি সেক্স পরিবর্তন করে মেয়ে হয়ে ওঠার কথা সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা করতে শুরু করি। ২০০৭ সালে আমার রূপান্তরের প্রক্রিয়াটা শুরু হল।

অনেক লোক আমার চেহারা নিয়ে মজা করত, আমি গোঁড়ার দিকে মুষড়ে পড়তাম। কিন্তু তারপরে আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিলাম ব্যাপারটাকে।ধীরে ধীরে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বাড়াতে লাগলাম। পরিচিতি বাড়তে লাগল। আমি রূপান্তর-কামী নারী এটা জানার পরে ধীরে ধীরে মডেলিংয়ের অফার পেতে শুরু করলাম। অভিনয়ও শুরু করি তখন থেকেই। বিদেশ থেকেও মডেলিংয়ের অফার পেতে শুরু করলাম।

আজ রুদ্রাণী নিজের পরিচয়েই পরিচিত হয়েছে। সমাজ থেকেও সম্মান পাই। লোকে আমার ব্যবহার পছন্দ করে। একটা মডেলিং এজেন্সি চালাই আমি – আমার মতো অন্যান্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করি ওটার মাধ্যমে। তবে একটা বিষয় অধরাই থেকে গেছে – সেক্স বদল করার পরেও। এ ব্যাপারটা আমাকে সবসময়ে নাড়া দেয়। আমার জীবনে অনেকে আসে, আর চলে যায়। কেউ আমার জীবনসঙ্গী হতে চায় না। কারণ আমি নারী হয়ে উঠলেও কখনও মা হতে পারব না।”

অনেক আবেগ, “মনে হওয়া” আর মানবতা – যৌন মানসিক বিকৃতির মেইন্সস্ট্রিমিং-এর হালের সফল রেসিপি। বাই দা ওয়ে, আমার প্রথমের কথাগুলো লিখে রাখুন। দশ বছর পর মিলিয়ে দেখবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *