ইসলামী ব্যাংকিং-এর সমস্যাগুলোর সমাধান কী?


ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার সমস্যাগুলোর সমাধান কী?
– সফদার আলম

ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে আমি বেশ লেখালেখি করেছি। কখনো শিক্ষামূলক, কখনো সমালোচনা। ঘুরেফিরে কিছু প্রশ্ন প্রায়ই সামনে আসে –

‘আপনি কিভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চান?’

‘এ ব্যাপারে আমাদের কী করার আছে?’

এ প্রশ্নগুলো নিয়ে আজ কিছু কথা বলতে চাই।

আগে বলে নেই এ প্রশ্নগুলো শোনার পর আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী হয়। আমার মনে হয়, এ প্রশ্নগুলো আসলে অর্থহীন প্রশ্ন। কেন এমনটা মনে হয়, সেটা ব্যাখ্যা করছি।

ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে জানার পর থেকে আমার সুযোগ হয়েছে দীর্ঘদিন এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার। আমি আমার পুরো ক্যারিয়ার ইসলামী ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির পেছনে দিয়েছি। আমি কাজ করেছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্লোবাল ব্যাংকগুলোর হয়ে। ২০১১ সালে আমি ইসলামী ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে আসি। নৈতিক কারণে। যে নৈতিকতার কারণে দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে একদিন আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকেছিলাম, সেই নৈতিকতাই আমাকে বাধ্য করেছে এই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে আসতে।

ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সের জগতে আমার শেষ দিনগুলো কেটেছিল দুশ্চিন্তায়, রাতগুলো ছিল নির্ঘুম। বিশ্বাস করুন, আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। ইসলামী ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা তখনের মতো এখনো আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তাগুলোর একটি। এমন একটি দিন যায় না, যখন আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি না। আজকাল আমার দিন কাটে ইসলামী ব্যাংকিং আসলে কীভাবে কাজ করে, তা অন্যদের পড়িয়ে। বই, ব্লগ, প্রবন্ধ, ওয়ার্কশপ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো – ফরম্যাট যাই হোক না কেন, এটাই আজ আমার প্যাশন।

তবে আধুনিক ইসলামী ব্যাংকিং এর আরেকটি দিক আছে, যে অন্ধকার দিক নিয়ে কথা বলাটাও আমি আমার দায়িত্ব মনে করি। এটা মোটামুটি জানা কথা যে ইসলামী ব্যাংকিং ও ফ্যাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যে কিছু আপত্তি, কিছু অভিযোগ, কিছু বিতর্ক আছে। একটি অভিযোগ হল, ইসলামী ব্যাংকিং অতি মাত্রায় প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার অনুকরণের চেষ্টা করে। আরেকটি আপত্তি হল ইসলামী ব্যাংকিং এ ব্যবহৃত চুক্তি বা কন্ট্র্যাক্টগুল্ম নিয়ে। অনেকেই মনে করেন যে এ চুক্তিগুলো পুরোপুরি স্বচ্ছ না, এবং কাগজেকলমে যেরকম দেখায় এগুলো বাস্তবে সেভাবে কাজ করে না।

এ ধরনের আপত্তি, অভিযোগ কিংবা সমালোচনার জবাবে ধরাবাঁধা কিছু জবাব আর অজুহাত শোনা যায় –

১) প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা শত শত বছরের পুরনো। সেই তুলনায় ইসলামী ব্যাংকিং আজও শিশু। এই ইন্ডাস্ট্রিকে আরো উন্নত, আরো ইসলামী করার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

২) প্রচলিত ব্যাংকিং এর অনুকরণ করা হচ্ছে কি না, সেটা ইস্যু না। যে চুক্তিগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো হালাল এবং বৈধ হলেই হল।

৩) প্রফিট রেট বা মুনাফার হার নির্ধারনের ক্ষেত্রে সুদের হারকে মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করায় কোন সমস্যা নেই। কারণ এখানে সুদের হারকে কেবল একট স্ট্যান্ডার্ড বা বেঞ্চমার্ক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূল বিষয় হল শরীয়াহসম্মত পদ্ধতিতে মুনাফা দেয়া হচ্ছে কি না।

৪) প্রচলিত ব্যাংকিং এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়াটা কোন সমস্যা না। হালাল মাংশ আর হারাম মাংশের দাম একই – কিন্তু তবু দুটোর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। শুধু দাম এক হবার কারণে দুটোর মধ্যেকার পার্থক্য ঘুচে যাচ্ছে না।

৫) প্রচলিত আইনী ও নিয়ন্ত্রন (regulatory) কাঠামো সত্যিকারের ইসলামী ব্যাংকিং এর জন্য সহায়ক না। এগুলো গড়ে উঠেছে ঋণ ও সুদের লেনদেনের জন্য। আর আমাদেরকে এই কাঠামোর ভেতরেই কাজ করতে হবে।

এসব অজুহাতের ব্যাপারে আমার মন্তব্য হল, এগুলো পিওর ননসেন্স। ওপরের একটা জবাবের মধ্যেও আন্তরিকতার ছিটেফোঁটা নেই এবং প্রত্যেকটাই পুরোপুরি ভুল। প্রকৃত বাস্তবতা নিম্নরূপ –

১) প্রচলিত ব্যাংকিং এর অনুকরণ – বললে আসলে কম বলা হয়। বাস্তবতা হল আমরা সক্রিয়ভাবে রিবাকে গ্রহণ করে নিয়েছি এবং এর পেছনে ছুটছি।

২) ইসলামী ব্যাংকগুলো যা কিছু করে, ৯৮-৯৯% ক্ষেত্রে সেগুলোর নির্ধারন করা হয় সুদের হারের সাথে মিলিয়ে

৩) ১০০% সুকুকের রেইট ঠিক করা হয় সুদের হারের সাথে মিলিয়ে (সুকুক = ‘ইসলামি’ বন্ড)

৪) ব্যাপারটা এমন না যে ইসলামী ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবার পর শেষ অবলম্বন হিসেবে অনিচ্ছাসত্ত্বেও রিবার দ্বারস্থ হয়। বরং আমরা রিবার দিকে ছুটে যাচ্ছি, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রিবাকে নিয়ে আসার দাবি করছি।

৫) ওপরের প্রতিটা জবাব, প্রতিটা অজুহাত আসলে আজো টিকে আছে পাঠকদের অজ্ঞতাকে পূঁজি করে। আসলে আমরা বেশিরভাগ মানুষই ফাইন্যানশিয়াল মার্কেট, প্রডাক্ট এবং কন্ট্র্যাক্ট সম্পর্কে খুব একটা জানি না। ব্যাপারগুলো ভালোমতো বুঝি না। আর বুঝি না দেখেই বছরের পর বছর এসব ক্লান্ত অজুহাত আমাদের গেলানো যায়।

৬) এই যে সুদের হারের সাথে মিলিয়ে মুনাফা ঠিক করা হচ্ছে, এসব লেনদেনের পেছনে উদ্দেশ্য কিছু সাদাকা বা সামাজিক পরিবর্তন না। এগুলো হল ঋণ, যেগুলো গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে হোম লোন, কার লোন, পারসোনাল লোন, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি হিসেবে। আর হ্যা কর্পোরেশানগুলোকেও অনেক লোন দেয়া হয়। এগুলোর পেছনে মূল উদ্দেশ্য কেবলই ব্যাংকগুলোর ব্যবসা বাড়ানো।

৭) আমার মনে আছে বিশ্ববাজারে ইসলামী ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির সম্পদের পরিমাণ যখন ২০০ বিলিয়ন ডলার ছুয়েছিল, তখন এ নিয়ে আমরা খুব গর্বিত ছিলাম। আজ এটা বেড়েছে ১০ গুণের চেয়েও বেশি। অ্যাসেট বেড়েছে প্রায় ১৮০০ বিলিয়ন ডলারের মতো। আর এর ৯০% এর মতো বা আরও বেশির হার নির্ধারন করা হয়েছে রিবার সাথে মিলিয়ে।

এটা কি এমন কোন ইন্ডাস্ট্রির ছবি যা রিবা এড়াতে চায়? নাকি এই ইন্ডাস্ট্রি রিবার পেছনে ছুটছে? রিবাকে জাপটে ধরেছে?

তাই কেউ যখন প্রশ্ন করে –
ইসলামী ব্যাংকিং এর সমস্যাগুলোর সমাধান কী?, কিংবা

‘আপনি এগুলোর সমাধানের জন্য কী করছেন’

– তখন আমি সেটাকে একটা অর্থহীন প্রশ্ন হিসেবে দেখি।

অনেক সময় আমি সংক্ষেপে উত্তর দেই – হ্যা এ ইন্ডাস্ট্রির মৌলিক কিছু সমস্যার সমাধানের জন্য আমার সাধ্যমত আমি চেষ্টা করছি। তবে অধিকাংশ সময় আমি এতোটুকুও বলি না। কারণ মানুষ যখন এই প্রশ্নগুলো করে তখন আমার মনে হয় তারা আসলে নিচের কথাগুলো বলছে –

“ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে আমার অল্পস্বল্প আগ্রহ আছে, তবে খুব বেশি না। আসলে ইসলাম অনুযায়ী নিজের টাকাপয়সা সামলাতে পারলে তো ভালোই হয়। তবে প্রক্রিটা সহজ হতে হবে। সহজ না হলে আমার দরকার নেই ভাই। যদি কোন আলিম বলেন হালাল, তাহলে সেটা আমার জন্য যথেষ্ট। কেন আমি শুধুশুধু নিজের জন্য ব্যাপারগুলো কঠিন করবো, যখন তারা আমাকে সহজ একটা সমাধান দিচ্ছেনই?

শোন সফদার, তুমি ইসলামী ব্যাংকিং এর সমালোচনা করো, সমস্যা নেই। কিন্তু আমাকে সমাধান দাও। যদি আমাকে রেডিমেড এবং সহজ কোন সমাধান দিতে পারো, যদি সেই সমাধান গ্রহন করলে আমার লাইফস্টাইল অপরিবর্তিত থাকে – তাহলে কথা বল। নইলে চুপ থাকো, তোমার কথা শোনার কোন আগ্রহ আমার নেই।”

কিন্তু আমি আসলে যে প্রশ্নটা শুনতে চাই তা হল –

‘ইসলামী ব্যাংকিং এ যে এই মাত্রায় রিবার অনুসরণ করা হয় সেটা আমার জানা ছিল না! আমি আতঙ্কিত বোধ করছি! এটা কিভাবে সম্ভব? আর এটা কিভাবে একটা ভালো জিনিস হয়? সবকিছুই আলিমদের অনুমোদন নিয়ে করার পর কিভাবে এমন অবস্থা হয়?

তোমার কথা শুনে আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না ইসলামী ব্যাংক ব্যবহার করা ঠিক হবে কি না।

আচ্ছা আমার কী করার আছে?’

এটা হল একজন আন্তরিক মুসলিমের আন্তরিক প্রশ্ন। এমন একজন মানুষের প্রশ্ন যিনি রিবার ভয়াবহতা এবং এই গুনাহর মাত্রা সম্পর্কে জানেন, বোঝেন এবং আল্লাহকে ভয় করেন। আর আমি চেষ্টা করি সাধ্যমত এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার।

সমস্যা হল আমরা শুধু তখনই ইসলাম পালন করতে চাই যখন ইসলাম পালন করা সোজা। কথাটা আমার জন্যও প্রযোজ্য। তাই আধুনিক ইসলামী ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি মৌলিকভাবে বদলে দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান কিভাবে করা সম্ভব, সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করার আগে মুসলিম হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব পালন করা উচিৎ –

১) জানা। ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে অনেক বই, প্রবন্ধ, লেখা পাওয়া যায়। যদিও এগুলোর ৯৯% তত্ত্ব নিয়ে, তবু এখান থেকে শুরু করা যায়।

২) তত্ত্ব সম্পর্কে জানার পর এ সত্যটা অনুধাবন করা যে, এই তত্ত্বগুলোর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। বাস্তবে রিবার পেছনে ছোটা হচ্ছে

৩) তত্ত্ব ও বাস্তবতার এই ফারাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। এ নিয়ে অনেকেই লিখেছেন। গুগল করুন। একটু সময় দিন।

৪) সমস্যার মাত্রা ও ভয়াবহতা অনুধাবন করুন। সমস্যাটা খুঁটিনাটি কোন বিষয় নিয়ে না। আজকের ইসলামী ব্যাংকিং এর পুরো ব্যবস্থাটাই ভুল, ত্রুটিপূর্ণ, অনৈতিক এবং প্রতারণাপূর্ণ।

৫) চিন্তা করুন যে এ পুরো ব্যাপারটা করা হচ্ছে ইসলামের নামে। বুঝুন যে আলিমদের ব্যবহার করা হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকিং এর সমালোচনা বন্ধ করার জন্য। আলিমরাও এই ফ্রডের স্বীকার।

৬) জানুন যে ইসলামী ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স এর ব্যাপারে বেশ কিছু শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ড আমাদের সামনে আছে, যার অন্যতম হল AAOIFI (গুগল করুন)। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয় না।

৭) এবার এটা বুঝে নিন যে, এই স্ট্যান্ডার্ডগুলো যখন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় তখনও আমরা রিবার লেনদেনই করি, কারণ এই স্ট্যান্ডার্ডগুলো পর্যাপ্ত না। শিথিল হতে হতে এগুলো আজ প্রায় অকেজো হয়ে গেছে।

৮) ক্ষুব্ধ হোন

৯) ইসলামের নামে এই মাত্রায়, এতো ব্যাপকভাবে আমাদের জীবনে রিবার প্রসার নিয়ে আতঙ্কিত হোন। আল্লাহ এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রিবার ভয়াবহতা নিয়ে কী বলেছেন সেটা জানুন।

১০) প্রয়োজনে কিছু নির্ঘুম রাত কাটান

১১) তারপর অন্য মুসলিমদের সাথে এ নিয়ে কথা বলুন, এই তথ্যগুলো প্রচার করুন

১২) তারপর সমাধানের জন্য কী করা যায় সেটা নিয়ে কথা শুরু করুন

১৩) এই পর্যায়ে এসে অত্যন্ত আনন্দ এবং উৎসাহ নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে চাইবো এবং কিছু বিষয় আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

যখন ইসলামী ব্যাংকিং এর সমালোচনা শোনা মাত্র কেউ যখন সরাসরি ‘সমাধান’ এর প্রশ্ন তুলে বসে, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অর্থ হল আসলে সমাধান নিয়ে প্রশ্নকর্তার কোন আগ্রহ নেই। আমরা সমাধানে আগ্রহী না, আমরা আগ্রহী কোন স্যাক্রিফাইস ছাড়া সহজে জীবনটা কাটিয়ে দিতে। ইসলামী ব্যাংকিং শুধু ব্যাংক, আলিম, রেগুলেটর আর সরকারগুলোর বিষয় না। তাদের দায়িত্ব ছিল এ ব্যাপারে ইসলামের সীমাগুলো মেনে চলা, এবং আজ সর্বজনীনভাবে তারা তা মানছে না। তাই ইসলামের মতোই, ইসলামী ব্যাংকিং এর ব্যাপারটাও আজ আমাদের হাতে। এ সমস্যার সমাধান বের করতে হবে সাধারন মুসলিমদেরকেই। যখন আমরা শক্তভাবে দাবি করবো, আওয়াজ তুলবো তখনই কেবল তারা শুনবে। রিবা থেকে বাঁচতে হলে, আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিজেদেরই সতর্ক হতে হবে।

যতোক্ষন আমরা এ সত্যটা বুঝতে পারবো না, যতোক্ষণ আমরা ঐসব লোকদের সিদ্ধান্ত নিতে দেবো যারা আমাদের দ্বীনকে খেলতামাশার বিষয় বানিয়ে নিয়েছে এবং দ্বীন বেঁচে ব্যবসা করছে – ততোক্ষণ কোন কিছুই বদলাবে না।

তাই, ‘সমাধান কী?’, এই প্রশ্ন করা বন্ধ করুন।

প্রশ্ন করুন, ‘সমাধান আনার জন্য আমি কী করতে পারি?’

বিশ্বাস করুন, আমরা যদি একসাথে চেষ্টা করি তাহলে আমাদের করার মতো অনেক কিছুই আছে। যদি কেউ আসলেই আগ্রহী হন তাহলে আমি খুশিমনে এ নিয়ে আলোচনা করবো। তবে শর্ত হল, আগে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। আর বাস্তবতা হল, আমরা আজ প্রস্তুত হবার ধারেকাছেও নেই।

এবং আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। আমার নিয়্যাত আন্তরিক। আল্লাহ রাবুল আলামীন আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করুন। কোনদিন যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় – যা তুমি জানতে তা কি অন্যদের জানিয়েছিলে?

আমি সেই প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দিতে চাই।

কেউ শুনলো কি শুনলো না, সেটা আমার মাথাব্যাথা না।


লেখক – সফদার আলম
সাবেক ইসলামী ব্যাংকার, জেইপি মরগানের ইসলামী স্ট্রাকচারিং এর সাবেক গ্লোবাল হেড, সিইও সিয়াম ক্যাপিটাল


ইসলামী ব্যাংকিং এর তত্ত্ব ও বাস্তবতার ভুল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য পড়তে পারেন –

ইসলামী ব্যাংক:ভুল প্রশ্নের ভুল উত্তর – rokomari.com/book/182445/


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *